Powered by Blogger.

গণিত অলিম্পিয়াড কী? কীভাবে, কী করবেন গণিত অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণের জন্য ? (Mega Post)

গণিত অলিম্পিয়াড

বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড

বাংলাদেশের প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ছাত্র-ছাত্রীদের গণিতের সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতা।তৃতীয় থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীরা এতে অংশগ্রহণ করে। বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি এর আয়োজন করে থাকে। দৈনিক প্রথম আলো এবং ডাচ-বাংলা ব্যাংক অলিম্পিয়াড আয়োজনে সহায়তা দিয়ে থাকে। ২০০২ খ্রিস্টাব্দে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড আয়োজিত হয়। তখন থেকে প্রতি বছরই নিয়মিতভাবে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এই অলিম্পিয়াড দুটি স্তরে সম্পন্ন হয়ে থাকে: বিভাগীয় উৎসব ও জাতীয় উৎসব। বিভাগীয় উৎসবে নির্বাচিত ছাত্র-ছাত্রীরা জাতীয় উৎসবে অংশ নেয়। জাতীয় পর্যায়ে কৃতিত্ব প্রদর্শনকারীদের নিয়ে গণিত ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়, আর সেখানে থেকেই বাছাই করা হয় আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের জন্যে বাংলাদেশের জাতীয় গণিত দল।
এছাড়াও গণিতের জাগরণকে মুখরিত রাখতে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড, নিজস্ব ব্লগ এবং গণিত ক্লাব ও ফোরাম চালু করেছে। এসকল ফোরাম ও ক্লাবে গণিত বিষয়ে নানা সমস্যার আলোচনা ও সমাধান করা হয়।


১. গণিত অলিম্পিয়াড কী?

গণিত অলিম্পিয়াড শিক্ষার্থীদের গণিতে দক্ষতা এবং আগ্রহ বাড়ানোর জন্য দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। গণিত অলিম্পিয়াডের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে হলে এখানে  এবং এখানে  এই দু’টি ওয়েবসাইট ঘুরে দেখতে পার। বাংলাদেশে গণিত অলিম্পিয়াডের মোটামুটি তিনটি ধাপ আছে।
প্রথমটি হল আঞ্চলিক (বিভাগীয়) গণিত উৎসব, যা ডিসেম্বর-জানুয়ারী মাসে সারাদেশের প্রায় ১৪-১৫ টি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হয়। রেজিস্ট্রেশনের জন্য চোখ রাখতে হবে প্রথম আলোর বিজ্ঞান প্রজন্ম এবং গণিত ইশকুল পাতায়। প্রতিটি ভেন্যুতে সর্বোচ্চ প্রায় ১০০০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিতে পারে। তাই আগে ভাগে রেজিস্ট্রেশন করে ফেলাই ভাল।
২য় ধাপ হল বাংলাদেশ জাতীয় গণিত অলিম্পিয়াড। সারাদেশে আঞ্চলিক প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের নিয়ে ঢাকায় ফেব্রুয়ারী মাসের মাঝামাঝি সময়ে অনুষ্ঠিত হয়। এটি সাধারণত দুইদিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমদিন সকালে মূল অলিম্পিয়াড পর্ব। এর পর প্রতিযোগীদের জন্য নানা পর্বের আয়োজন থাকে। পরদিন পুরস্কার বিতরণীল মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
৩য় ধাপ হল গণিত ক্যাম্প এবং Team Selection Test (TST) । জুনিয়র, সেকেন্ডারী এবং হায়ার সেকেন্ডারী পর্যায়ের (প্রশ্ন ক.২ দ্রষ্টব্য) শিক্ষার্থীদের নিয়ে মার্চের দিকে প্রায় দুই সপ্তাহব্যাপী গণিত ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। এখানে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের জন্য দল নির্বাচন করা হয়। এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যেহেতু আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে ইংরেজীতেই সবকিছু করতে হয়, তাই ক্যাম্পের পাঠদানের মাধ্যমও মূলত ইংরেজী। তবে এটা নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কারণ ইংরেজীতে গণিত শেখা খুব একটা সমস্যার ব্যাপার নয়।

২.  গণিত অলিম্পিয়াডে কারা অংশ নিতে পারবে?

বিভাগীয় গণিত উৎসবে ৩য় থেকে ১২শ শ্রেণীর (বা সমমানের) শিক্ষার্থীরা অংশ নিতে পারবে। বাংলাদেশে ৪টি ক্যাটেগরীতে ভাগ করে অলিম্পিয়াডের আয়োজন করা হয়:
  • প্রাইমারী: ৩য় থেকে ৫ম
  • জুনিয়র: ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম
  • সেকেন্ডারী: ৯ম থেকে ১০ম
  • হায়ার সেকেন্ডারী: ১১শ থেকে ১২শ শ্রেণী।
তবে এক্ষেত্রে বলে রাখা ভাল যে জাতীয় গণিত ক্যাম্পে কোন ক্যাটেগরী নেই। সবাইকে একই পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়।


৩. গণিত অলিম্পিয়াডে কী ধরণের প্রশ্ন (সমস্যা) দেওয়া হয়?

গণিত অলিম্পিয়াডে কী ধরণের সমস্যা দেওয়া হবে তার কোন বাধাধরা নিয়ম নেই। তাছাড়া কোন বই থেকে সমস্যা না দিয়ে সাধারণত মৌলিক সমস্যা, বা কোন সমস্যাকে পরিবর্তিত করে নতুন সমস্যা দেওয়া হয়, সুতরাং কমন পড়ার সম্ভাবনা নেই! তবে সাধারণত, বিভাগীয় গণিত অলিম্পিয়াডে ৭০-৭৫ মিনিট সময়ের ভেতর ১০-১২ টি সমস্যার সমাধান করতে হয়। এখানে কোনকিছু প্রমাণ করতে হয় না; কেবল উত্তর লিখলেই চলে। জাতীয় গণিত অলিম্পিয়াডেও ১০-১২ টি সমস্যার সমাধান করতে হয়। তবে এখানে প্রমাণ নির্ভর বেশকিছু সমস্যা দেওয়া হয় এবং সময় ক্যাটেগরীভেদে ২-৪ ঘন্টা। আগের বছরগুলোর গণিত অলিম্পিয়াডের প্রশ্ন  এই ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

৪. গণিত অলিম্পিয়াডের জন্য কীভাবে প্রস্তুতি নেওয়া যায়?

এই প্রশ্নের জবাব দেওয়া বেশ কঠিন। কারণ অনেকে প্রচুর পড়াশোনা বা অনুশীলনের পরও হয়ত সমস্যা সমাধানে তেমন ভাল করবে না। অনেকে অল্প চেষ্টাতেই বেশ ভাল করতে পারে। তবে সমস্যা সমাধান কখনোই সহজ কোন বিষয় নয় (অন্তত শুরুতে তো নয়ই)। তাই এক্ষেত্রে পরামর্শ হল ধৈর্য না হারিয়ে বার বার চেষ্টা করে যাওয়া। আমি নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানি যে গণিতে দক্ষতা যেমন রাতারাতি অর্জন করার মত বিষয় না, তেমনি এমন কোন বিষয়ও না যা নির্দিষ্ট একটা পথ অবলম্বল করলে বা কয়েকটা বই পড়ে ফেললেই শেখা যাবে। তবে শুরুতে সমস্যাগুলো খুব কঠিন লাগলেও আস্তে আস্তে বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে সামঞ্জস্য (Relation) এবং pattern নিজে থেকেই যখন আবিষ্কার করতে পারবে তখন সহজ সমস্যা সমাধান করা আরও অনেক সহজ হয়ে যাবে। কী ধরণের বিষয় কোন ক্যাটেগরীতে আসতে পারে তা জানতে এখান  থেকে BdMO syllabus লেখা pdf দেখতে পার। তবে বিভাগীয়তে মূলত: পাঠ্যবইয়ের জ্ঞান কতটুকু কাজে লাগাতে সক্ষম সেটা দেখা হয়। কিন্তু জাতীয় অলিম্পিয়াডে অনেক advanced বিষয় থেকে সমস্যা দেওয়া হতে পারে যেটা আমাদের সিলেবাসে নেই (যেমন: সংখ্যাতত্ত্ব বা কম্বিনেটরিকস)।
সমস্যা সমাধান সম্পর্কে জানার জন্য এবং সাধারণ কলাকৌশলে শেখার জন্য সবচেয়ে ভাল (এবং highly recommended) বই হল: The art and craft of problem solving। এছাড়া USA গণিত দলের প্রাক্তন কোচ কিরণ কেদলায়ার এই  নোটটিতে তিনি চমৎকার কিছু টিপস দিয়েছেন।
সবে সর্বশেষ কথা হল সঠিক অনুশীলনের কোন বিকল্প নেই। (“সঠিক অনুশীলন” সম্পর্কে জানতে প্রশ্ন ক. ৬ দেখ)

৫. গণিত অলিম্পিয়াডের জন্য কী কী বই পড়া প্রয়োজন?

প্রাইমারী এবং জুনিয়র ক্যাটেগরির শিক্ষার্থীদের জন্য মূলত নিজ ক্যাটেগরির পাঠ্যবইয়ের দিকেই বেশি নজর দেওয়া উচিত। তবে জাতীয় গণিত অলিম্পিয়াডের সমস্যাগুলোর ক্ষেত্রে পাঠ্যবইয়ের জ্ঞান যথেষ্ট নাও হতে পারে। বাংলা বইয়ের ভেতর problem book হিসেবে “গণিত এবং আরও গণিত” এবং “নিউরনে অনুরণন” ছোটদের জন্য ভাল।
সেকেন্ডারী আর হায়ার সেকেন্ডারী ক্যাটেগরির শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবই যথেষ্ট নয় (তবে অবশ্যই পাঠ্যবইয়ের উপর ভাল দখল থাকতে হবে)। পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি আলাদা আলাদা বিষয়ের উপর textbook থেকে মূল বিষয়গুলো পড়ে problem book থেকে অনুশীলন করতে পার। তবে এক্ষেত্র বাংলা ভাষায় লেখা বইয়ের সংখ্যা খুবই কম। সেকারণে মূলত: ইংরেজী বইই পড়তে হবে। বই সম্পর্কে আরও তথ্যের জন্য প্রশ্ন ক.৭ দেখ।

৬. “আমি অনেক বই পড়েছি, সমাধান বুঝতেও কোন সমস্যা হয় না; কিন্তু আমি সমস্যা সমাধান করতে পারি না” কী করব??

প্রথমে একটা বিষয় পরিষ্কারভাবে বলা দরকার। অনেকের ধারণা যারা জাতীয় গণিত অলিম্পিয়াডে চ্যাম্পিয়ন হয় বা আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে মেডেল যায় তারা একটা সমস্যা নিয়ে বসে…আর কিছুক্ষণ পর একটা ম্যাজিকের মত সমাধান বের করে (এমন যদি হতো!)…কিন্তু এটা পুরোপুরি সত্যি না। আসল ব্যাপার হল যারা অলিম্পিয়াড সমস্যা সমাধান করে দীর্ঘদিনের জন্য তারা বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে একটা pattern খুঁজে পায়। ফলে তার কোন উপায়ে আগাতে হবে সেটা বুঝতে পারে (এটাকে অনেকে intuition বলে)। এটা আসলে দীর্ঘদিনের অনুশীলনের ফল। তাছাড়া তারা নানা দিক থেকে দীর্ঘক্ষণ ধরে ধৈর্য ধরে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালায়। আমাদের কোচ ড. মাহবুব মজুমদারের মতে: “The best problem solvers are those, who work on problems like a mad dog. They are not necessarily more genius than you.”
আরেকটা ব্যাপার হল সঠিকভাবে সমস্যা সমাধান না করা। সমস্যা সমাধান করার সময় যদি কোন সমস্যা খুব সহজ লাগে তাহলে সেই level এর সমস্যাতে মোটামুটি পারদর্শী হয়েছ বলে ধরে নেওয়া যায়। তাই সেক্ষেত্রে আরও একটু advanced level এর সমস্যা সমাধান করা যেতে পারে। অর্থাৎ সহজ সমস্যা সমাধানের চেয়ে challenging সমস্যা সমাধান করলেই দ্রুত উন্নতি করা সম্ভব। তবে সহজ সমস্যা তো আগে পারতেই হবে! আর কোন সমস্যা সমাধানের পর অন্য কোন সমাধান দেখা বা দীর্ঘসময় ধরে সমাধান না করতে পারলে সমাধান দেখে শেখার চেষ্টা করলেও অনেকসময় অনেককিছু শেখা যায়।


৭. গণিত অলিম্পিয়াডের বই কোথায় পাওয়া যায়?

আমাদের কাছে এখন গণিত অলিম্পিয়াডের প্রস্তুতির জন্য বিশ্ববিখ্যাত প্রায় সব বইই আছে। তবে সমস্যা হল বই না পড়ে দেখলে সেটা কতটা কঠিন (Difficulty level) বা মান বোঝা সম্ভব না। এখানে একটা comprehensive book list তৈরীর চেষ্টা করছি, মন্তব্য এবং ডাউলোড লিঙ্ক সহ: । আশা করি দ্রুতই কাজ শেষ করতে পারব।
তবে কম্পিউটারে পড়তে সমস্যা হলে printed copy এর জন্য যেকোনো বইয়ের দোকানে দেখতে পারেন।

৮. “আমি তো অলিম্পিয়াডে পুরস্কার পাব না, আমার এসব করে লাভ কী?”

শুধু পুরস্কার পাবার জন্য গণিত অলিম্পিয়াডে আসতে হবে এমন কোন কথা নেই। একটা সমস্যা সমাধান না করলেও সেটা অনেকক্ষণ চেষ্টা করলে যেমন সেটা থেকে অনেক কিছু শেখা যায়, তেমনি গণিত অলিম্পিয়াডে অংশ নিলে পুরস্কার না পেলেও গণিতের প্রতি আগ্রহ যদি বৃদ্ধি পায় তাহলে সেটাও কিন্তু কম না। আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানি যে অনেকেই প্রথমবার অংশ নিয়ে ভাল না করলেও পরেরবার অনেক ভাল ফলাফল করেছে। আর সবচেয়ে বড় কথা হল এরকম নেতিবাচক চিন্তা না করে আত্মবিশ্বাস রাখ যে তুমি পারবে; তাহলেই তুমি ভাল করতে পারবে।

 ৯. গণিত বিষয়ে কিছু ওয়েবসাইটের লিঙ্ক প্রয়োজন

যারা মোটামুটি গণিত অলিম্পিয়াডে শুরুর ধাপটা পার করতে পেরেছ, তাদের জন্য শ্রেষ্ঠ ওয়েবসাইট হল The art of Problem solving: এখানে 
(Mathlinks নামেও পরিচিত)। আরও লিঙ্ক পাওয়া যাবে এখানে




কিছু অতি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভিদের বৈজ্ঞানিক নাম



গুরুত্বপূর্ণ কিছু উদ্ভিদের বৈজ্ঞানিক নামঃ





উদ্ভিদের নাম
বৈজ্ঞানিক নাম
ধান
Oryza sativa
ভুট্টা
Zea mays
মটর
Pisum sativum
আম
Mangifera indica
কাঁঠাল
Artocarpus heterophyllus
নারিকেল
Cocos nucifera
পিঁয়াজ
Allium cepa
রসুন
Allium sativum
চা
Camellia sinensis
পাট
Corchorus capsularis
তুলা
Gossypium (genus)

বাংলা নিয়ে স্পেশাল পোস্টঃ সংক্ষিপ্ত কবি পরিচিতি (কবিতাংশ)

 

কবিদের সংক্ষিপ্ত বিবরণ


কবির নাম ও
কবিতা
সাহিত্যে অবদান
কাব্যগ্রন্থসমূহ
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
(১৮২৪-১৮৭৩)
বঙ্গভাষা
জন্ম- যশোর জেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামে
১৩-১৪টি ভাষায় পারদর্শী ছিলেন
প্রথম সার্থক বাংলা মহাকাব্য
অমিত্রাক্ষর ছন্দ প্রবর্তন
প্রথম সার্থক বাংলা নাটক রচনা
প্রথম সার্থক বাংলা প্রহসন রচনা
প্রথম বাংলা সনেট রচয়িতা
কাব্যগ্রন্থ-
মেঘনাদবধ কাব্য (মহাকাব্য)
তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য
বীরাঙ্গনা
ব্রজাঙ্গনা
চতুর্দশপদী কবিতাবলী
নাটক-
শর্মিষ্ঠা
পদ্মাবতী
কৃষ্ণকুমারী
প্রহসন-
একেই কি বলে সভ্যতা
বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(৭ মে ১৮৬১-৭ আগস্ট ১৯৪১)
(২৫ বৈশাখ ১২৬৮- ২২ শ্রাবণ ১৩৪৮)
সোনার তরী
জন্ম- কলকাতার জোড়াসাঁকোর বিখ্যাত ঠাকুর পরিবারে
১ম প্রকাশিত কাব্য- বনফুল (কবির ১৫ বছর বয়সে প্রকাশিত)
নোবেল প্রাপ্তি- ১৯১৩, গীতাঞ্জলি কাব্যের ইংরেজি অনুবাদের জন্য
বিশ্বের অন্যতম সেরা রোম্যান্টিক কবি
কাব্যগ্রন্থ-
সোনার তরী
চিত্রা
বলাকা
মানসী
কল্পনা
গীতাঞ্জলি
উপন্যাস, নাটক ও প্রবন্ধ- (গদ্য অংশে)
কাজী নজরুল ইসলাম
(২৫ মে ১৮৯৯-২৯ আগস্ট ১৯৭৬)
(জন্ম : ১১ জৈষ্ঠ্য ১৩০৬ বঙ্গাব্দ)
জীবন বন্দনা
জন্ম- (বর্তমান ভারতের) পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে
ডাকনাম- দুখু মিয়া, তারাখ্যাপা
উপাধি- বিদ্রোহী কবি
স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় কবি
কবর- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদ প্রাঙ্গণে (মসজিদেরই পাশে আমার কবর দিও ভাই- তাঁর রচিত গান অনুসারে)
কাব্যগ্রন্থ-
অগ্নিবীণা
বিষের বাঁশি
ছায়ানট
প্রলয়-শিখা
চক্রবাক
সিন্ধু-হিন্দোল
জীবনানন্দ দাশ
(১৮৯৯-১৯৫৪)
পেঁচা
পঞ্চপাণ্ডবের* অন্যতম কবি
তাঁর মা- কুসুমকুমারী দাশ ছিলেন বিখ্যাত কবি
কবিতায় গ্রামবাংলার নিসর্গের অসামান্য ছবি এঁকেছেন
রবীন্দ্রনাথ তাঁর কবিতাকে বলেছেন- চিত্ররূপময় কবিতা
বুদ্ধদেব বসু তাঁকে বলেছেন- নির্জনতম কবি
কলকাতায় ট্রাম দুর্ঘটনায় তাঁর আকস্মিক মৃত্যু হয় (অনেকের মতে তিনি আত্মহত্যা করেন)
রূপসী বাংলা
ধূসর পাণ্ডুলিপি
বনলতা সেন
সাতটি তারার তিমির
বেলা অবেলা কালবেলা
অমিয় চক্রবর্তী
(১৯০১-১৯৮৬)
বাংলাদেশ
পঞ্চপাণ্ডবের অন্যতম কবি*
রবীন্দ্রনাথের ব্যক্তিগত সচিব ছিলেন
রবীন্দ্র-সান্নিধ্যে থেকেও রবীন্দ্র-প্রভাব বর্জিত
খসড়া (প্রথম কাব্য)
একমুঠো
মাটির দেয়াল
অভিজ্ঞানবসন্ত
পারাপার (পটভূমিতে ৪ মহাদেশ)
পালাবদল (পটভূমিতে ৪ মহাদেশ)
পুষ্পিত ইমেজ
অমরাবতী
ঘরে ফেরার দিন
অনিঃশেষ
জসীমউদদীন
(১৯০৩-১৯৭৬)
কবর
উপাধি/পরিচিতি- পল্লীকবি
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালে তাঁর কবর কবিতাটি প্রবেশিকা বাংলা সংকলেনে অন্তর্ভুক্ত হয় (প্রবেশিকা= এসএসসি/এন্ট্রান্স পরীক্ষা)
নকশী কাঁথার মাঠ
সোজন বাদিয়ার ঘাট
বালুচর
ধানখেত
রঙিলা নায়ের মাঝি
সুফিয়া কামাল
(১৯১১-১৯৯৯)
তাহারেই পড়ে মনে
বিশিষ্ট মহিলা কবি ও নারী আন্দোলনের পথিকৃৎ
স্বামী- সৈয়দ নেহাল হোসেন
সাঁঝের মায়া
মায়া কাজল
কেয়ার কাঁটা
উদাত্ত পৃথিবী
আহসান হাবীব
(১৯১৭-১৯৮৫)
ধন্যবাদ

রাত্রিশেষ (প্রথম কাব্যগ্রন্থ)
ছায়াহরিণ
সারাদুপুর
আশায় বসতি
মেঘ বলে চৈত্রে যাবো
দুই হাতে দুই আদিম পাথর
বিদীর্ণ দর্পণে মুখ
ফররুখ আহমদ
(১৯১৮-১৯৭৪)
পাঞ্জেরী
ইসলামী রেনেসাঁসের কবি
কাব্যগ্রন্থ-
সাত সাগরের মাঝি (প্রথম কাব্য)
সিরাজাম মুনীরা
কাব্যনাট্য- নৌফেল ও হাতেম
সনেটসংকলন- মুহূর্তের কবিতা
কাহিনীকাব্য- হাতেম তায়ী
সৈয়দ আলী আহসান
(১৯২২-বর্তমান)
আমার পূর্ব বাংলা
জাহাঙ্গীরনগর ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন
বাংলা একাডেমীর পরিচালক ছিলেন

কাব্যগ্রন্থ-
অনেক আকাশ
একক সন্ধ্যায় বসন্ত
সহসা সচকিত
আমার প্রতিদিনের শব্দ
সমুদ্রেই যা্বো
গবেষণা ও প্রবন্ধ-
কবি মধুসূদন
রবীন্দ্র কাব্যবিচারের ভূমিকা
কবিতার কথা ও অন্যান্য বিবেচনা
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস
সতত স্বাগত
শিল্পবোধ ও শিল্পচৈতন্য
অনুবাদ- হুইটম্যানের কবিতা
সুকান্ত ভট্টাচার্য
(১৯২৬-১৯৪৭)
আঠারো বছর বয়স
রবীন্দ্র-নজরুলোত্তর যুগের বিদ্রোহী তরুণ কবি
সাম্যবাদী কবি
মাত্র ২১ বছর বয়সে কবির অকালমৃত্যু হয়
কাব্যগ্রন্থ-
ছাড়পত্র
ঘুম নেই
পূর্বাভাস
অন্যান্য রচনা-
মিঠেকড়া
অভিযান
হরতাল
শামসুর রাহমান
(১৯২৯-২০০?)
একটি ফটোগ্রাফ
পঞ্চপাণ্ডব* পরবর্তী অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি
বাংলাদেশের প্রধান কবি
এক ফোঁটা কেমন অনল
প্রথম গান দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে
রৌদ্র করোটিতে
বিধ্বস্ত নীলিমা
নিজ বাসভূমে
বন্দী শিবির থেকে
দুঃসময়ের মুখোমুখি
ফিরিয়ে নাও ঘাতক কাঁটা
বাংলাদেশ স্বপ্ন দেখে
উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ
বুক তার বাংলাদেশের হৃদয়
পঞ্চপাণ্ডব*- রবীন্দ্র পরবর্তী যুগের (ত্রিশের দশকের) ৫ জন প্রধান কবিকে একত্রে পঞ্চপাণ্ডব বলা হয়; তাঁরা হলেন- বুদ্ধদেব বসু, বিষ্ণু দে, জীবনানন্দ দাশ, অমিয় চক্রবর্তী ও সুধীন্দ্রনাথ দত্ত


কবি
কবিতার নাম
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
হায় আমি কি করিলাম
নবীনচন্দ্র সেন
মেঘনা
কায়কোবাদ
নিবেদন
অক্ষয়কুমার বড়াল
মানব বন্দনা
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
শিশু
যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত
হাটে
শাহাদাৎ হোসেন
জাহাঁগীরের আত্মসমর্পণ
গোলাম মোস্তফা
ঈদ উৎসব
আবদুল কাদির
মুক্তি
সূফী মোতাহার হোসেন
ঝড়
আবুল হোসেন
বাজার দর
আল মাহমুদ
খড়ের গম্বুজ
মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান
মানুষের মত কেউ নয়
রফিক আজাদ
আমার কৈশোর
আবুল হাসান
উচ্চারণগুলি শোকের

বাংলা নিয়ে স্পেশাল পোস্টঃ সংক্ষিপ্ত লেখক পরিচিতি (গদ্যাংশ)

সংক্ষিপ্ত লেখক পরিচিতি

লেখকের নাম, জন্ম ও মৃত্যুসাল ও গল্প/রচনা
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
বিভিন্ন রচনা
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
(১৮২০-১৮৯১)
শকুন্তলা
উপাধি- বিদ্যাসাগর (সংস্কৃত কলেজ প্রদত্ত)
আসল নাম- ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
শিল্পসম্মত গদ্যরীতির জনক
প্রমিত চলিত ভাষা প্রণয়ন
বিরাম চিহ্নের ব্যবহার
বেতাল পঞ্চবিংশতি
শকুন্তলা
সীতার বনবাস
ভ্রান্তিবিলাস
শিশুপাঠ্য- বর্ণ পরিচয়
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
(১৮৩৮-১৮৯৪)
কমলাকান্তের জবানবন্দী
উপাধি- সাহিত্য সম্রাট
প্রথম সার্থক বাংলা উপন্যাস রচনা
বঙ্গদর্শন পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক
যুগন্ধর সাহিত্য স্রষ্টা
উপন্যাস-
দুর্গেশনন্দিনী
কপালকুণ্ডলা
বিষবৃক্ষ
কৃষ্ণকান্তের উইল
রাজসিংহ
প্রবন্ধ-
লোকরহস্য
কমলাকান্তের দপ্তর
বিবিধ প্রবন্ধ
সাম্য
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(৭ মে ১৮৬১-৭ আগস্ট ১৯৪১)
(২৫ বৈশাখ ১২৬৮- ২২ শ্রাবণ ১৩৪৮)
হৈমন্তী
ছদ্মনাম- ভানুসিংহ
বিশ্বের অন্যতম ছোট গল্পকার
নোবেল পান ১৯১৩ সালে, গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদ Gitanjoli : Song Offerings-এর জন্য; ইংরেজি অনুবাদের অধিকাংশই বাংলা গীতাঞ্জলি কাব্যের কবিতা হলেও আরো কয়েকটি কাব্যের কবিতা স্থান পেয়েছিল; বিভিন্ন কাব্য থেকে নেয়া কবিতার সংখ্যা-
গীতাঞ্জলি- ৫৩টি
গীতিমাল্য- ১৬টি
নৈবেদ্য- ১৫টি
খেয়া- ১১টি
শিশু- ৩টি
কল্পনা- ১টি
চৈতালি- ১টি
উৎসর্গ- ১টি
স্মরণ- ১টি
অচলায়তন- ১টি
গীতাঞ্জলির ইংরেজি অনুবাদে উৎসাহ দিয়েছিলেন বিখ্যাত ইংরেজ কবি ডব্লিউ বি ইয়েটস
শান্তিনিকেতন ও বিশ্বভারতী-র প্রতিষ্ঠাতা
কবিতা- (কবিতা অংশ)
উপন্যাস-
নৌকাডুবি
গোরা
ঘরে বাইরে
চার অধ্যায়
শেষের কবিতা
নাটক-
রক্তকরবী
রাজা
চিত্রাঙ্গদা
ডাকঘর
চিরকুমার সভা
বিসর্জন
প্রবন্ধ-
বিচিত্র প্রবন্ধ
কালান্তর
পঞ্চভূত
সভ্যতার সংকট
অন্যান্য-
বাংলা ভাষা পরিচয়
লোক সাহিত্য
প্রমথ চৌধুরী
(১৮৬৮-১৯৪৬)
সাহিত্যে খেলা
ছদ্মনাম- বীরবল
প্রমিত চলিত গদ্যরীতির প্রবর্তক
সবুজপত্র পত্রিকার সম্পাদক
চার ইয়ারী কথা
বীরবলের হালখাতা
রায়তের কথা
তেল-নুন-লকড়ি
সনেট পঞ্চাশৎ (কাব্যগ্রন্থ)
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
(১৮৭৬-১৯৩৮)
বিলাসী
নারীর প্রতিকৃতি অঙ্কনে অসামান্য দক্ষতা
২৪ বছর বয়সে সন্ন্যাসী হয়ে গৃহত্যাগ করেন
জীবিকার তাগিদে বর্মা (বর্তমান মায়ানমার) গিয়ে কিছুকাল বাস করেছিলেন
প্রথম প্রকাশিত রচনা- মন্দির (গল্প)
মন্দির গল্পটি কুন্তলীন পুরস্কার পায়

দেবদাস
পল্লীসমাজ
চরিত্রহীন
শ্রীকান্ত (৪ খণ্ড)
গৃহদাহ
দেনাপাওনা
রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন
(১৮৮০-১৯৩২)
অর্ধাঙ্গী
বাঙালি মুসলিম সমাজে নারী জাগরণের পথিকৃৎ
মুসলমান মেয়েদের জন্য স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন
লিখতেন- মিসেস আর. এস. হোসেন নামে
পদ্মরাগ
অবরোধবাসিনী
মতিচূর
সুলতানার স্বপ্ন
Sultanas Dream
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
বৈকালী
তাঁর পরিকল্পিত উপন্যাস ত্রয়ীর (পথের পাঁচালি, অপরাজিত ও কাজল) শেষ উপন্যাসটি (কাজল) লেখেন তাঁর পুত্র তারাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়
উপন্যাস ত্রয়ী নিয়ে চলচ্চিত্র তৈরি করেন- সত্যজিৎ রায়
পথের পাঁচালি
অপরাজিত
আরণ্যক
ইছামতী
কাজী নজরুল ইসলাম
(২৫ মে ১৮৯৯-২৯ আগস্ট ১৯৭৬)
(জন্ম : ১১ জৈষ্ঠ্য ১৩০৬ বঙ্গাব্দ)
যৌবনের গান
ডাকনাম- দুখু মিয়া, তারাখ্যাপা
ছোটবেলায় লেটো গানের দলে যোগ দেন
১৭ বছর বয়সে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন (প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেন)
৪৩ বছর বয়সে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হন
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর অসুস্থ কবিকে ঢাকায় আনা হয় এবং নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়
স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় কবি ঘোষণা করা হয়
কবিতা- (কবিতা অংশ)
গল্পগ্রন্থ-
ব্যথার দান
রিক্তের বেদন
শিউলিমালা
উপন্যাস- মৃত্যু-ক্ষুধা
নাটক-
আলেয়া
ঝিলিমিলি
প্রবন্ধগ্রন্থ-
যুগ-বাণী
দুর্দিনের যাত্রী
রুদ্র-মঙ্গল
রাজবন্দীর জবানবন্দী
সৈয়দ মুজতবা আলী
বই কেনা
পড়াশোনা করেন- শান্তিনিকেতনে, জার্মানির বন বিশ্ববিদ্যালয়ে ও কায়রোর আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে
অধ্যাপনা করেন- কাবুলে
দেশে বিদেশে (ভ্রমণকাহিনী)
রম্যরচনা-
চাচা কাহিনী
পঞ্চতন্ত্র
ময়ুরকণ্ঠী
দ্বন্দ্বমধুর
ধূপছায়া
চতুরঙ্গ
উপন্যাস-
অবিশ্বাস্য
শবনম
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
(১৯০৮-১৯৫৬)
পদ্মানদীর মাঝি
আসল নাম- প্রবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
ডাক নাম- মানিক
প্রথম রচনা- অতসী মামী
উপন্যাস-
পদ্মানদীর মাঝি
পুতুল নাচের ইতিকথা
দিবারাত্রির কাব্য
ইতিকথার পরের কথা
চিহ্ন
গল্পগ্রন্থ-
অতসী মামী
প্রাগৈতিহাসিক
আজ কাল পরশুর গল্প
ছোট বকুলপুরের যাত্রী
আবু জাফর শামসুদ্দীন
(১৯১৯-১৯৮৮)
কলিমদ্দি দফাদার

উপন্যাস-
ভাওয়াল গড়ের উপাখ্যান
পদ্মা মেঘনা যমুনা
সংকর সংকীর্তন
প্রপঞ্চ
দেয়াল
গল্পগ্রন্থ-
আবুজাফর শামসুদ্দীনের শ্রেষ্ঠ গল্প
শেষ রাত্রির তারা
এক জোড়া প্যান্ট ও অন্যান্য
রাজেন ঠাকুরের তীর্থযাত্রা
অন্যান্য- আত্মস্মৃতি
শওকত ওসমান
(১৯১৭-১৯৯৮)
সৌদামিনী মালো
তাঁর কালোত্তীর্ণ উপন্যাস- ক্রীতদাসের হাসি
উপন্যাস- বনি আদম
চৌরসন্ধি
জাহান্নাম হইতে বিদায়
রাজা উপাখ্যান
নেকড়ে অরণ্য
ক্রীতদাসের হাসি
পতঙ্গ পিঞ্জর
ছোটগল্পগ্রন্থ-
পিঁজরাপোল
প্রস্তর ফলক
জন্ম যদি তব বঙ্গে
নাটক-
আমলার মামলা
তস্কর ও লস্কর
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ
(১৯২২-১৯৭১)
একটি তুলসী গাছের কাহিনী
লালসালু (উপন্যাস)
সমাজসচেতন সাহিত্যশিল্পী
রচনায় প্রতিফলিত হয়েছে- ধর্মীয় ও সামাজিক কুসংস্কার, মূল্যবোধের অবক্ষয় ও মানব মনের অন্তর্দ্বন্দ্ব
উপন্যাস-
লালসালু
কাঁদো নদী কাঁদো
চাঁদের অমাবস্যা
গল্পগ্রন্থ-
নয়নচারা
দুই তীর
নাটক-
বহিপীর
তরঙ্গভঙ্গ
সুড়ঙ্গ
মুনীর চৌধুরী
মানুষ (নাটক)
রক্তাক্ত প্রাণ্তর (নাটক)
(১৯২৫-১৯৭১)
বাংলাদেশের আধুনিক নাটক ও নাট্য আন্দোলনের পথিকৃৎ
নাটক-
রক্তাক্ত প্রাণ্তর
চিঠি
দণ্ডকারণ্য
পলাশী ব্যারাক ও অন্যান্য
অনুবাদ নাটক-
কেউ কিছু বলতে পারে না
রূপার কৌটা
মুখরা রমণী বশীকরণ
প্রবন্ধ-
মীর-মানস
তুলনামূলক সমালোচনা
বাংলা গদ্যরীতি
জহির রায়হান
(১৯৩৩-১৯৭২)
একুশের গল্প
আসল নাম- মোহাম্মদ জহিরুল্লাহ
জীবনমুখী সমাজসচেতন কথাসাহিত্যিক
বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রকার

উপন্যাস-
হাজার বছর ধরে
আরেক ফাল্গুন
বরফ গলা নদী
আর কতদিন
গল্প-
জহির রায়হানের গল্প সংগ্রহ
চলচ্চিত্র-
জীবন থেকে নেয়া
ডকুমেন্টারি-
স্টপ জেনোসাইড
লেট দেয়ার বি লাইট


পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত অন্যান্য লেখক ও তাঁদের রচনা :
লেখকের নাম
রচনা
মীর মশাররফ হোসেন
কারবালা প্রান্তরে
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
শিক্ষা
মোজাম্মেল হক
শাহনামা
দীনেশচন্দ্র সেন
পল্লীগীতিকায় প্রাচীন চিত্রপট
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর
সুন্দর অসুন্দর
এস. ওয়াজেদ আলী
ধর্মের মহিমা
কাজী আবদুল ওদুদ
সভ্যতা
কাজী মোতাহার হোসেন
অসীমের সন্ধানে
মোতাহের হোসেন চৌধুরী
জীবন ও বৃক্ষ
আবুল ফজল
সভ্যতার সংকট
মুহম্মদ আবদুল হাই
ভাষার কথা
শাহেদ আলী
একই সমতলে
আব্দুল্লাহ আল -মুতী
পরিবেশের ভারসাম্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন

আকাশ কেন নীল দেখায় ?


অনেকেই বলে থাকেন সাদা কোন রঙ নয়। এটা নাকি সাত রঙের সমষ্টি। আসলেই কি তাই? হুম আসলেই তাই। রাম ধনু বা রঙ ধনু যে সাতটি রঙ দিয়ে তৈরী হয় সাদা রংকে বিশ্লিষ্ট করলে ঠিক সেই সাতটি রঙ পাওয়া যায়। বিজ্ঞানবাদীরা এই সাত রঙ্গকে এক সাথে বলে থাকেন বেনীআসহকলা। বেগুনী, নীল, আসমানী, সবুজ, হলুদ, কমলা লাল। ইংরেজীতে বলে VIBGYOR, ভায়োলেট, ইন্ডিগো, ব্লু, গ্রীন, ইয়েলো, অরেঞ্জ, রেড। সূর্য্যের আলো এই সাতটি রঙ্গের সমষ্টি। মূলত তরঙ্গ দৈর্ঘের ভিন্নতার কারনে আমাদের চোখে রঙের তারতম্য ঘটে আবং আমরা বিভিন্ন রঙ দেখতে পাই। সূর্য্য থেকে পৃথিবীতে আলো আসতে সময় লাগে আট মিনিট তের সেকেন্ড। আলোকরশ্মি বায়ুমন্ডলে প্রবেশ করার পর সুক্ষ ধূলিকণা ও গ্যাসীয় অনুর উপর আপতিত হয়। তখন সূর্য্যরশ্মির বিক্ষেপন ঘটে। যে আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য যত কম তা তত বেশী বিক্ষেপিত হয়। নীল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সব থেকে কম। তাই নীল আলো বায়ুমন্ডল ভেদ করে সহজে আমাদের চোখে এসে পৌঁছায়। সেজন্য যখন আমরা আকাশের দিকে তাকাই তখন আকাশ নীল দেখি। কবি মন গেয়ে ওঠে, নীল আকাশের নীচে আমি রাস্তা চলেছি একা। আসলে আকাশের কোন রঙ নেই। বায়ুমন্ডল পেরিয়ে আমরা যখন মহাবিশ্বের আকাশের দিকে তাকাবো তখন দেখতে পাবো চারিদিকে রাতের কালো আকাশ।